কয়েক দিন আগে সিলেট ঘুরে আসার ফলে আমার মানিব্যাগের স্বাস্থ্য
আশঙ্কাজনক হারে খারাপ হলো। তাই হোমিও, এলোপ্যাথি বা হার্বাল যে চিকিৎসাই
নেই না কেন তাতে নিশ্চিতভাবে বিভিন্ন পথ্যের সাথে পেসক্রিপশনের নিচে‘বায়ু
পরিবর্তন আবশ্যক’ কথাটা জুড়া থাকত। তাই বিনা পরামর্শেই হাওয়া বদলের
উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া রওনা হলাম। এবারের ভ্রমণের প্রভাবক সিলেট ভ্রমণের
সহযাত্রী জসীম। এবার অবশ্য রথ দেখা ও কলা বেচা দুটোই করার কথা ছিল। কিন্তু
কলাটা চারু কলা ছিল এটা বলাটা ঠিক হবে না। তাই কুষ্টিয়ার মাটিতে পা রেখে
শীতলতম স্বাগতম পাওয়ার পরকলা বেচাটা আর হলো না ওটা তোলা থাকল ব্যবসায়
শিক্ষা অনুষদের ছেলে মেয়েদের জন্য। কলা বেচার বিরুদ্ধে পরামর্শমূলক
বিদ্রোহতে যারা সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিল তারা হল জসীমের বাল্যবন্ধু হুমায়ূন,
আব্দুল্লাহ’র বাবা নাজমুল ভাই, মুজাহিদ (সালমান শাহ), মিতা শামীম, বন্ধুবর
ফারুক আর অবশ্যই আমি।
১১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখেরুমমেট শহীদুলের হেডফোন-কানটুপি ও মোস্তাকের হাতঘড়ি পরে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল নীলক্ষেত মোড় থেকে বইয়ের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে। গাবতলীগামী গাড়ীতে উঠে শুরু হল চামড়ার গন্ধ শোঁকা। ছোট ভাই সাইদুরের বডি স্প্রেটাও ব্যর্থ হয়েছিল। গাবতলী থেকে রাত ১২টার পর অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর গাড়িতে উঠে যেখানে যাত্রা বিরতি করা হল তা রাশিয়া ছিল কিনা বলতে পারব না তবে জায়গাটা প্রচন্ড ঠান্ডা ছিল। সেখান থেকে গ্রহণ বর্জন দুইই শেষ হলে আবার গাড়ীতে চড়লাম। আমার মিতা শামীমের ভাল রেজাল্টের রহস্য উন্মোচিত হল এবার দেখলাম সে বাসের সিটের উপরের লাইট জ্বালিয়ে পড়ছে। কুষ্টিয়া নেমে এক হোটেলে বসলাম কিন্তু কিছু খেলাম না। তারপর বিদ্রোহ করে গোত্রছাড়া হলাম।
বলা হয় বাংলাদেশে কাকের চেয়ে কবির সংখ্যা বেশি তাই আমাদের মাঝেও অধিকাংশই ছিল কবি। এজন্য ঠিক হল কবিগুরুর একটু চরণধুলা নিয়ে আসি। ছয় জন মিলে একটা অটোরিক্সা ভাড়া করলাম গন্তব্য, রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী। গিয়ে দেখলাম এখানকার যে পরিবেশ এখানে নিরক্ষর লোক থাকলে তার মাথায়ও কবিতা গিজ গিজ করত। কাদম্বরী দেবীর ছবির দেখে বুঝলাম রবীন্দ্রনাথ কেন তার প্রেমে পড়েছিলেন। যেহেতু মুজাও কবিতা লেখায় অভ্যস্ত তাই সে সোজা কাদম্বরীর প্রেমে পড়ে গেল আমার কথা আর নাই বললাম। এখানে কুষ্টিয়ার দুটি বিশেষ জিনিস খেলাম একটি হল তালপাতার সাহায্যে কুলফি আর অপরটি কটকটি। জেলার নামের সাথে মিল রেখেই মনে হয় দুটোরই নাম ক দিয়ে শুরু।
এরপর মীর মশাররফ হোসেন সেতু দিয়ে গেলাম মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা কাম যাদুঘরে। বেরিয়ে আসার সময় নাজমুল ভাই আবেগে মন্তব্য খাতায় মনে হয় একটা পুরো রচনা লিখে দিলেন।
পরবর্তীতে গেলাম কুষ্টিয়ার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত জায়গা (ড্রাইভার মামার মতে) লালনের আখড়া ছেঁউড়িয়াতে। লালনের মাজারের বিপরীতের মাঠে গেলাম আগে। গিয়ে দেখি লোকজন প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনে ব্যস্ত। মাঠ সংলগ্ন দীঘিতে আমি ও ফারুক বাদে সবাই স্নান সারল। এরপর দুই শামীম ও মুজা অপেক্ষায় রইলাম কখন বাকীরা জুমার নামাজ সেরে ফেরে। পরবর্তীতে আমরা লালনের মাজারে ঢুকলাম। তার কবর দেখলাম, অডিটোরিয়াম দেখলাম, যাদুঘরটাও দেখলাম কিন্তু কাউকে গাঁজা টানতে দেখলাম না। এখানে আমরা আমাদের অটোকে বিদায় জানালাম।
দুপুরে খাবার খেয়ে আমি, ফারুক আর মুজা অন্যদের আলবিদা জানিয়ে যশোরের বাসে উঠলাম। আমি প্রথমবারের মত যশোর যাচ্ছিলাম কিন্তু ওদের অতীত অভিজ্ঞতা আমাকে যশোরের মানুষ সম্পর্কে বাজে ধারণা দিল। রাস্তায় যেতে যেতে জীবনে প্রথমবারের মত আখের ফুল দেখলাম।
সন্ধ্যায় যশোর নেমে মুজার বন্ধু ইমরানের ‘চালতে চালতে’ প্রেম কাহিনী শুনলাম। পরবর্তীতে শিশু আদদীনে এসে সশরীরে ইমরানকে দেখলাম। সে আমাদের মাথা গোঁজার যে ঠাঁইয়ের ব্যসস্থা করল তা ছিল রক্ষণশীল রাজনৈতিক মতাদর্শের এক মেস যা আমার ও মুজাহিদের জন্য প্রতিকূল ছিল। রাতে কারবালা হয়ে ধর্মতলার চা খেতে গেলাম যার প্রশংসা করেছিল মুজাহিদ। অনেক প্রতীক্ষার পর চা খেয়ে মনে হল মুজাহিদকে আমাদের এলাকার হবি কাকার চা খাওয়ানো দরকার তাতে ওর মনোভাব পরিবর্তন হতে পারে। ফেরার সময় মুজাহিদ বাগ-ই-আদম নামের এক বাড়ী দেখাল যা তার স্বপ্ননীড় 'স্বর্গনীড়’র কাছাকাছি। রাতের খাবার সারতে হল ইমরানের বাসায় ভাবীর অনুরোধে।
মেসে ফিরে বসল কার্ড খেলার আসর। এবারে ভ্রমণে কার্ড খেলার ভীষণ তৃষ্ণা ছিল ফারুকের। অবশ্য তা না মিটতেই ইমরানকে এগিয়ে দিয়ে আসলাম। রাতে আমি আর ফারুক এক বেডে আর অপর বেডে মুজাহিদ অনেক পরিশ্রম শেষে শান্তির ঘুম দিলাম।
১৩ ডিসেম্বর সকালে উঠে গেলাম যশোর এয়ার পোর্টে। কিন্তু ভিতরে ঢুকতে না পেরে বাইরেই কিছুক্ষণ পায়চারি করলাম। আমার অবশ্য মেয়ে দেখতে এসে মেয়ের ছোটবোন পছন্দ হওয়ার মত পাশের ছোট একটি সবুজ জমি পছন্দ হল।
পরবর্তী গন্তব্য মুজাহিদ (সালমান শাহ) ও রিয়াজের কলেজ, যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। কলেজে গিয়ে মুজাহিদ নস্টালজিক হয়ে তার কলেজ জীবনের অনেক ঘটনা বলল এমনকি হৃদয় ঘটিত ঘটনাও। তবে আমার হৃদয়েও একটা আঁচড় ফেলল এখানকার এক অপরিচিতা।
এরপর গেলাম বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সিনেমা হল মণিহারে। মনে প্রাণে চাইলাম ‘যুদ্ধশিশু’ ছবিটি চলুক। কিন্তু এক ঢিলে দুই পাখি তো দূরে থাক এক পাখিও মারতে পারলাম না। টিকেট কেটে ‘স্বপ্নছোঁয়া’ নামে এক বাণিজ্যিক ছবি দেখতে ঢুকলাম। ছবিটি কয়েক মিনিট দেখার পরও প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে পড়া এর নিম্ন মান অসত্য প্রমাণিত হল না। তাই নামাজ পড়ে ফারুক হলে ঢোকার কয়েক মিনিট পরই আমরা বেরিয়ে আসতে বাধ্য হলাম।
শেষ বিকেলে গেলাম বিনোদিয়া পার্কে। এ জায়গাটা আমার পছন্দসই ছিল। এখানে এসে আবার একটি চিড়িয়াখানায় ঢুকলাম আর জীবনে প্রথম বারের মত অজগর সাপকে হাত দিয়ে স্পর্শ করলাম।
যশোর আসলাম কিন্তু খেজুর রস খেলাম না এটা তো এক প্রকার অন্যায়। তাই বিনোদিয়া থেকে ফেরার পথে রসের জন্য খোঁজ দ্য সার্চ চালালাম। অনেক জায়গায় খুঁজতে খুঁজতে আমাদের অস্থায়ী ডেরার কাছাকাছি এক এলাকার এক গাছির বাড়ীতে হাজির হলাম। সে তখন পাঁপড় ভেজে বিক্রি করছিল। আমরা ক্ষুধার চোটে কয়েকটা পাঁপড় ভাজাখেলাম। পরবর্তীতে গাছি স্বচ্ছ রসের দ্বিগুণ দামে আমাদের যে রস এনে দিল তা ছিল ঘোলা রস। কি আর করা দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাতেই হলো।
যশোরকে বিদায় জানাতে আসলাম নিউ মার্কেটে। ঢাকার টিকেট কাটলাম আর মুজাহিদকে সাতক্ষীরার বাসে যুদ্ধ করে তুলে দিলাম। অবশেষে রাত আড়াইটায় চিরচেনা স্থান শাহবাগে ল্যান্ড করলাম।
মোবাইলে চার্জ না থাকা আর বাকী সব মিলিয়ে এই দুই দিন নির্ভার ছিলাম। বিশেষ ধন্যবাদ মুজাহিদকে। আশা করি আবার আমরা সবাই কোন নতুন জায়গায় ভ্রমণের সুযোগ পাব। তার আগ পর্যন্ত বিদায়।
১১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখেরুমমেট শহীদুলের হেডফোন-কানটুপি ও মোস্তাকের হাতঘড়ি পরে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল নীলক্ষেত মোড় থেকে বইয়ের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে। গাবতলীগামী গাড়ীতে উঠে শুরু হল চামড়ার গন্ধ শোঁকা। ছোট ভাই সাইদুরের বডি স্প্রেটাও ব্যর্থ হয়েছিল। গাবতলী থেকে রাত ১২টার পর অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর গাড়িতে উঠে যেখানে যাত্রা বিরতি করা হল তা রাশিয়া ছিল কিনা বলতে পারব না তবে জায়গাটা প্রচন্ড ঠান্ডা ছিল। সেখান থেকে গ্রহণ বর্জন দুইই শেষ হলে আবার গাড়ীতে চড়লাম। আমার মিতা শামীমের ভাল রেজাল্টের রহস্য উন্মোচিত হল এবার দেখলাম সে বাসের সিটের উপরের লাইট জ্বালিয়ে পড়ছে। কুষ্টিয়া নেমে এক হোটেলে বসলাম কিন্তু কিছু খেলাম না। তারপর বিদ্রোহ করে গোত্রছাড়া হলাম।
বলা হয় বাংলাদেশে কাকের চেয়ে কবির সংখ্যা বেশি তাই আমাদের মাঝেও অধিকাংশই ছিল কবি। এজন্য ঠিক হল কবিগুরুর একটু চরণধুলা নিয়ে আসি। ছয় জন মিলে একটা অটোরিক্সা ভাড়া করলাম গন্তব্য, রবি ঠাকুরের কুঠিবাড়ী। গিয়ে দেখলাম এখানকার যে পরিবেশ এখানে নিরক্ষর লোক থাকলে তার মাথায়ও কবিতা গিজ গিজ করত। কাদম্বরী দেবীর ছবির দেখে বুঝলাম রবীন্দ্রনাথ কেন তার প্রেমে পড়েছিলেন। যেহেতু মুজাও কবিতা লেখায় অভ্যস্ত তাই সে সোজা কাদম্বরীর প্রেমে পড়ে গেল আমার কথা আর নাই বললাম। এখানে কুষ্টিয়ার দুটি বিশেষ জিনিস খেলাম একটি হল তালপাতার সাহায্যে কুলফি আর অপরটি কটকটি। জেলার নামের সাথে মিল রেখেই মনে হয় দুটোরই নাম ক দিয়ে শুরু।
এরপর মীর মশাররফ হোসেন সেতু দিয়ে গেলাম মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা কাম যাদুঘরে। বেরিয়ে আসার সময় নাজমুল ভাই আবেগে মন্তব্য খাতায় মনে হয় একটা পুরো রচনা লিখে দিলেন।
পরবর্তীতে গেলাম কুষ্টিয়ার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত জায়গা (ড্রাইভার মামার মতে) লালনের আখড়া ছেঁউড়িয়াতে। লালনের মাজারের বিপরীতের মাঠে গেলাম আগে। গিয়ে দেখি লোকজন প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনে ব্যস্ত। মাঠ সংলগ্ন দীঘিতে আমি ও ফারুক বাদে সবাই স্নান সারল। এরপর দুই শামীম ও মুজা অপেক্ষায় রইলাম কখন বাকীরা জুমার নামাজ সেরে ফেরে। পরবর্তীতে আমরা লালনের মাজারে ঢুকলাম। তার কবর দেখলাম, অডিটোরিয়াম দেখলাম, যাদুঘরটাও দেখলাম কিন্তু কাউকে গাঁজা টানতে দেখলাম না। এখানে আমরা আমাদের অটোকে বিদায় জানালাম।
দুপুরে খাবার খেয়ে আমি, ফারুক আর মুজা অন্যদের আলবিদা জানিয়ে যশোরের বাসে উঠলাম। আমি প্রথমবারের মত যশোর যাচ্ছিলাম কিন্তু ওদের অতীত অভিজ্ঞতা আমাকে যশোরের মানুষ সম্পর্কে বাজে ধারণা দিল। রাস্তায় যেতে যেতে জীবনে প্রথমবারের মত আখের ফুল দেখলাম।
সন্ধ্যায় যশোর নেমে মুজার বন্ধু ইমরানের ‘চালতে চালতে’ প্রেম কাহিনী শুনলাম। পরবর্তীতে শিশু আদদীনে এসে সশরীরে ইমরানকে দেখলাম। সে আমাদের মাথা গোঁজার যে ঠাঁইয়ের ব্যসস্থা করল তা ছিল রক্ষণশীল রাজনৈতিক মতাদর্শের এক মেস যা আমার ও মুজাহিদের জন্য প্রতিকূল ছিল। রাতে কারবালা হয়ে ধর্মতলার চা খেতে গেলাম যার প্রশংসা করেছিল মুজাহিদ। অনেক প্রতীক্ষার পর চা খেয়ে মনে হল মুজাহিদকে আমাদের এলাকার হবি কাকার চা খাওয়ানো দরকার তাতে ওর মনোভাব পরিবর্তন হতে পারে। ফেরার সময় মুজাহিদ বাগ-ই-আদম নামের এক বাড়ী দেখাল যা তার স্বপ্ননীড় 'স্বর্গনীড়’র কাছাকাছি। রাতের খাবার সারতে হল ইমরানের বাসায় ভাবীর অনুরোধে।
মেসে ফিরে বসল কার্ড খেলার আসর। এবারে ভ্রমণে কার্ড খেলার ভীষণ তৃষ্ণা ছিল ফারুকের। অবশ্য তা না মিটতেই ইমরানকে এগিয়ে দিয়ে আসলাম। রাতে আমি আর ফারুক এক বেডে আর অপর বেডে মুজাহিদ অনেক পরিশ্রম শেষে শান্তির ঘুম দিলাম।
১৩ ডিসেম্বর সকালে উঠে গেলাম যশোর এয়ার পোর্টে। কিন্তু ভিতরে ঢুকতে না পেরে বাইরেই কিছুক্ষণ পায়চারি করলাম। আমার অবশ্য মেয়ে দেখতে এসে মেয়ের ছোটবোন পছন্দ হওয়ার মত পাশের ছোট একটি সবুজ জমি পছন্দ হল।
পরবর্তী গন্তব্য মুজাহিদ (সালমান শাহ) ও রিয়াজের কলেজ, যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। কলেজে গিয়ে মুজাহিদ নস্টালজিক হয়ে তার কলেজ জীবনের অনেক ঘটনা বলল এমনকি হৃদয় ঘটিত ঘটনাও। তবে আমার হৃদয়েও একটা আঁচড় ফেলল এখানকার এক অপরিচিতা।
এরপর গেলাম বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সিনেমা হল মণিহারে। মনে প্রাণে চাইলাম ‘যুদ্ধশিশু’ ছবিটি চলুক। কিন্তু এক ঢিলে দুই পাখি তো দূরে থাক এক পাখিও মারতে পারলাম না। টিকেট কেটে ‘স্বপ্নছোঁয়া’ নামে এক বাণিজ্যিক ছবি দেখতে ঢুকলাম। ছবিটি কয়েক মিনিট দেখার পরও প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে পড়া এর নিম্ন মান অসত্য প্রমাণিত হল না। তাই নামাজ পড়ে ফারুক হলে ঢোকার কয়েক মিনিট পরই আমরা বেরিয়ে আসতে বাধ্য হলাম।
শেষ বিকেলে গেলাম বিনোদিয়া পার্কে। এ জায়গাটা আমার পছন্দসই ছিল। এখানে এসে আবার একটি চিড়িয়াখানায় ঢুকলাম আর জীবনে প্রথম বারের মত অজগর সাপকে হাত দিয়ে স্পর্শ করলাম।
যশোর আসলাম কিন্তু খেজুর রস খেলাম না এটা তো এক প্রকার অন্যায়। তাই বিনোদিয়া থেকে ফেরার পথে রসের জন্য খোঁজ দ্য সার্চ চালালাম। অনেক জায়গায় খুঁজতে খুঁজতে আমাদের অস্থায়ী ডেরার কাছাকাছি এক এলাকার এক গাছির বাড়ীতে হাজির হলাম। সে তখন পাঁপড় ভেজে বিক্রি করছিল। আমরা ক্ষুধার চোটে কয়েকটা পাঁপড় ভাজাখেলাম। পরবর্তীতে গাছি স্বচ্ছ রসের দ্বিগুণ দামে আমাদের যে রস এনে দিল তা ছিল ঘোলা রস। কি আর করা দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাতেই হলো।
যশোরকে বিদায় জানাতে আসলাম নিউ মার্কেটে। ঢাকার টিকেট কাটলাম আর মুজাহিদকে সাতক্ষীরার বাসে যুদ্ধ করে তুলে দিলাম। অবশেষে রাত আড়াইটায় চিরচেনা স্থান শাহবাগে ল্যান্ড করলাম।
মোবাইলে চার্জ না থাকা আর বাকী সব মিলিয়ে এই দুই দিন নির্ভার ছিলাম। বিশেষ ধন্যবাদ মুজাহিদকে। আশা করি আবার আমরা সবাই কোন নতুন জায়গায় ভ্রমণের সুযোগ পাব। তার আগ পর্যন্ত বিদায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন