রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৬

তবে তাই হোক (Short Story)

সনেট আর সরল অন্তরঙ্গ বন্ধু হলেও তাদের স্বভাবে তেমন একটা মিল পাওয়া অত্যন্ত বিরল। কিন্তু তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব কী ভাবে হল কে জানে? তারা দুই জন দুই বিপরীত মেরু কিংবা দুই নদীর ধারার মত হলেও মোহনার কাছাকাছি মিলে গেছে। সনেট হাসিখুশি, সুদর্শন, বড়লোক বাবার একমাত্র ছেলে। অপরদিকে সরল জীবন সম্বন্ধে উদাসীন, কাঠখোট্টা, হাড্ডিসার, পুরো সংসারের ভারে নুয়ে পড়া, অবিন্যস্ত চুল- অনেকটা কলুর বলদের মত। তাদের মতেরও অনেক অমিল। সনেট এর কাছে জীবন এনজয়েবল কিন্তু সরল মনে করে তা কতগুলো দু:খময় সেকেন্ডের বৃহৎ সমষ্টি।
গ্রাম থেকে আসার পর সরল সনেটের কাছ থেকে অনেক সাহায্য সহানুভূতি পেয়েছিল তাই হয়তো তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। তাও আবার যেন তেন বন্ধুত্ব নয় একেবারে দহরম মহরম। তারা একই সঙ্গে বসে ক্লাস করে আবার একই সঙ্গে ক্লাসের ফাঁকের অবসর সময় পার করে।
তাদের মধ্যে অনেকগুলো অমিলের মধ্যে একটি আশ্চর্যজনক মিল রয়েছে তাদের কণ্ঠ প্রায় একইরকম। সনেট ও সরল দুজনেরই নামের প্রথম অক্ষর S. তাই তারা দুজনেই তাদের সাংকেতিক নাম হিসেবে ব্যবহার করে ƧS চিহ্নটি। এটা অবশ্য সরলের আবিষ্কার।
তো ক্যাম্পাসের বার্ষিক মুখপত্র তৈরির সময় সরল একটি চমৎকার কবিতা পাঠায় যা সবার কাছেই শ্রেষ্ঠ বলে মনে হয়। কিন্তু কিছু কিছু লোক নেপথ্যের আড়ালে থাকতে পছন্দ করে সরলও তাদের মধ্যে একজন। তাই সে লেখকের নামের জায়গায় ƧS ব্যবহার করে।
কিন্তু সনেট এর কিছুই জানত না। সনেট তখন ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে মিলিকে নিয়ে স্বপ্নজাল বুনতে এতই ব্যস্ত ছিল যে তখন তাকে একটা জড়বৎ মনে হওয়াই স্বাভাবিক যাকে কোন বাঘ আস্ত চিবিয়ে খেলেও বুঝতেই পারবে না অথবা গন্ডারের মত অনেকক্ষণ পর বুঝবে। তাই সরল যখন তাকে আলতো চাপড় মেরে বলল “চল যাই।” তখন সে বুঝতেই পারলো না। কিন্তু একটু জোরে ঝাঁকুনি দিতেই সনেট তন্দ্রা ভেঙ্গে বাস্তবে প্রবেশ করে এবং বলে “বন্ধু, আমাকে একটি সুন্দর মেসেজ লিখে দে”। তখন সরল তার সদ্য প্রকাশিত কবিতার কয়েক লাইন লিখে দিল। তারপর তারা নিজ নিজ গন্তব্যে চলে গেল।
এদিকে সনেট বাড়ী গিয়ে মিলির এক বান্ধবীকে পেটপুরে বার্গার খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নেয়া মিলির ম্যাজিক্যাল নাম্বারটিতে সেই কবিতার লাইনগুলো পাঠিয়ে দেয়। ঠিক জায়গায়ই SMS পৌঁছে। বলাই বাহুল্য শেষে লেখা ছিল ƧS চিহ্নটি।
তো মিলি SMS পেয়ে তাকে ঐ সুন্দর কবিতাটির জন্য অভিনন্দন জানালো আরেকটি SMS এর মাধ্যমে। সনেট খুব খুশি হল। সে ভাবল যে সরলের দেয়া SMS এর বদৌলতেই আজ তার কপাল খুলল। কেননা এর আগে সে অনেকবার অন্যকে দিয়ে তার মনের কথা বলিয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি এ ব্যাপারে কোন উৎসাহ দেখায়নি। সবমেয়ে যেখানে সনেটকে যেচে লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে প্রস্তাব করে সেখানে মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেলেও সে কেমন নিস্পৃহ ছিল।
যাক আজ সে অনেক খুশি। সে ঠিক করল উচ্চ কল রেটের তোয়াক্কা না করে কালকেই সরলকে দিয়ে তার পরিচয়ে কথা বলাবে কারণ ওর কথা শুনলে সবাই কেমন যেন একটু নরম হয়ে যায়। ও যেন অর্ন্তদৃষ্টি দিয়ে সকলের মনের খবর নিয়ে তা সুললিত কণ্ঠে নির্দ্বিধায় বলে দেয়। এজন্য ওকে সবাই সমীহ করলেও সবাই ভিতরে ভিতরে শ্রদ্ধা করে।
পরদিন এক নির্জন ঝোপঝাড়যুক্ত জায়গায় গিয়ে সরলকে সনেট সব কথা খুলে বলল এবং তার কাজে সাহায্য করতে বলল। কিন্তু সরল অসম্মতি জানিয়ে বলল যে “এসব ক্ষেত্রে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া একেবারে অনুচিত।” কিন্তু অত্যধিক জোরাজুরিতে সে কথা বলতে কল দেয়।
ওপাশে রিং হতেই নজরুলের ‘আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ কবিতা আবৃত্তি শোনা যেতে থাকে। কিছুক্ষণ পর সুরেলা কণ্ঠস্বর ভেসে আসে। সরল তার স্বভাব সুলভ রূক্ষ স্বরে হ্যালো বলে জবাব দিল। এরপর সে প্রশ্ন করল তাকে চিনতে পেরেছে কিনা? ও পাশ থেকে উত্তর আসলো “অবশ্যই”।
এরপর মিলি তাকে তার কবিতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করল। এর পর তার সম্পর্কে বিশ্লেষণ করল। এসব সরলের ভাল লাগছিল না। কেননা পৃথিবীতে এমনও কিছু মানুষ আছে যারা বাতির নিচের অন্ধকারকেই বেশি পছন্দ করে। তবু সে চুপচাপ শুনল কারণ মেয়েটি যার সম্বন্ধে মন্তব্য করছে ঐ ব্যক্তি সে নয় তার বন্ধু। নিজের কবিতার জন্য অন্য কেউ সম্মান পাচ্ছে দেখেও সে আপন বন্ধুর জন্য অবলীলায় আত্মত্যাগ করল।
পরবর্তীতে কিছু সাধারণ কথাবার্তার পর সরাসরি ভালবাসার প্রস্তাব দিল এবং মিলি তাকে আশ্বাস দিল যে সে তাকে অনেক আগেই ভালবাসতো। কিন্তু নারীরা অবলা বলে মুখ ফুটে সে কথা বলতে পারে নি। এরপর সে কিছু রোমান্টিক কথাবার্তা বলল যা সরল শুনতে চাইল না বলে সনেটকে ফোনটা দিয়ে দিল। একটু পরে ওপাশ থেকে লাইনটা কেটে গেল।
এরপর প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত হলো। মাঝে মাঝে সরল সনেট হয়ে নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনুরোধে ঢেঁকি গেলার মত মিলির সাথে কথা বলতো। একদিন সে আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করল যে মিলি তাকে দেখে কেমন যেন লজ্জা বোধ করে। তার সঙ্গে কথা বলার সময় তার গন্ডদেশে রক্তিম আভা ধরে। কিন্তু সে এর অর্থ বুঝলো না কিংবা বুঝতে চাইল না। কিন্তু সেদিনের পর থেকে সে আর মিলির সাথে কথা বলবে না বলে প্রতিজ্ঞা করল। সনেটের শত সাধাসাধিতেও সে প্রতিজ্ঞায় অটল রইল।
তারপর সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন, মাস নিজ গতিতেই এগিয়ে চলল। পরীক্ষা এসে দরজায় কড়া নাড়লো। তাই সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ল পড়াশোনা নিয়ে। ক্লাসের সবাই ভীষণ ব্যস্ত, কোন দিকে তাকানোর ফুসরত নেই কারো। কোন কিছু আরম্ভ হলে তা আজ হোক কাল হোক একদিন শেষ হবেই। পরীক্ষাও মহামারীর মত ত্রাস সঞ্চার করে এসে ঠিকই পরিশেষ হল। এরপর সবার অখন্ড অবসর।
এমন সময়ে মিলির বাড়ীর সামনের রাস্তার পিচ আর পাড়ার চায়ের দোকানের বেঞ্চ সনেটের সরব উপস্থিতিতে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকল। সরল একটা দোকানে পার্ট টাইম জব হিসেবে সেলসম্যানের কাজ নেওয়ায় সঙ্গী হতে পারত না। কিন্তু কাজ না থাকলেও হয়তো সে তার সঙ্গী হত না কারণ এসব ব্যাপার সরল খুব একটা পছন্দ করে না। এ ভাবে এক সপ্তাহ কেটে গেল। এখন সরল আর সনেটের দেখা খুব একটা হয় না। কারণ সনেট ব্যস্ত থাকে ফোন আর ঘোরাঘুরি নিয়ে আর সরল তার সবে ধন নীলমণি চাকরি নিয়ে।
একদিন সকালে সনেট সরলকে বলল যে কাল তার সঙ্গে রমনা পার্কে যেতে হবে। সরল কিছুই বুঝল না। সে বলল ‘কেন?’ সনেট বলল কোন ওজর আপত্তি খাটবে না কাল যেতেই হবে আর কারণ যেতে যেতে বলবে। তারপর যেমন মাটি ফুঁড়ে হঠাৎ উদয় হয়েছিল তেমনি হঠাৎ বাইকটা ঘুরিয়ে ঝড়ের বেগে চলে গেল।
সরলের উপর এখন অনেক চাপ। দোকানের মালিক ওকে খুব বিশ্বাস করে বলে কাল একটা চালান আনার জন্য ওকে যেতে বলেছে। কিন্তু কি আর করা। তার অসুবিধার কথা মালিককে বুঝিয়ে বললে হয়তো সে না করবে না। হলোও তাই। দোকানদার তার কাজে অনেক সন্তুষ্ট। তার উপস্থিতিতে দোকানের বিক্রী ভালই হচ্ছিল। তাই সে অমত করলো না।
আর দশটা দিনের মতই ১৩ তারিখ সকালটা শুরু হল। পাখির কলতানে সনেট ঘুমে থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সরলের আবাসে ঢুঁ মারলো। সরল প্রস্তুত হয়েই ছিল। সে তার বাইকের পিছনে চড়ে বসল। তারপর সরল জিজ্ঞেস করল “কারণটা বল”।
সে কেমন যেন আবেগহীন কণ্ঠে বলতে লাগল “আজ মিলি আসছে রমনা পার্কে আমার সঙ্গে দেখা করতে।” বলেই সে তার একটা প্রিয় গানের লাইন আওড়ে গেল। কিন্তু সরলের কাছে কেমন যেন খাপছাড়া লাগল।
একটু পর সনেট বলল “আজ আমার জীবনের দারুণ তাৎপর্যময় একটি দিন। আজ ওকে সামনাসামনি পেয়ে কি যে বলবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। হয়তো আমার মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হবে না।”
তার কথা শেষ হওয়ার আগেই মোড়ের কাছে আসতেই সরল চিৎকার করে বলল, “বাইক ডানে ঘোরা জলদি।”
রাস্তা মোটামুটি ফাঁকাই ছিল বলে সনেট খুব জোরে বাইক চালাচ্ছিল। কিন্তু মোড়ের ওপাশ থেকে একটা ট্রাক প্রচন্ড গতিতে এগিয়ে আসতে দেখে সনেট একটু ভড়কে গেল। তারপর যথাসাধ্য চেষ্টা করল বাইক ঘোরাতে। কিন্তু ওইটুকু সময়ই যথেষ্ট। ট্রাকের প্রচন্ড আঘাতে ওদের বাইকটা ছিটকে পড়ল।
বামপাশের অস্থিগুলোতে একটা ভোঁতা যন্ত্রণা নিয়ে সরল কোন মতে টলতে টলতে উঠে দাঁড়ালো। “মনে হয় না কোন সন্ধি ভেঙ্গেছে” বলে সে বাম দিকে চেয়ে দেখল অনেক জনতা ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে।
এবার সে ডান দিকে তাকিয়ে যা দেখল তা সে কল্পনাও করতে পারে নি। সনেটের মাথা থেকে গলগল করে রক্তপাত হচ্ছে। একটা অস্ফুট চিৎকার তার মুখ থেকে আপনাআপনি বেরিয়ে এল। সে জনতার উদ্দেশ্যে বলল “আপনারা কেউ একটা ট্যাক্সির ব্যবস্থা করুন দ্রুত। ওকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে হবে।” তারপর একজন একটা ট্যাক্সি নিয়ে এল এবং সনেটকে শুইয়ে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল।
সরল কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেল। কারণ রমানপার্কে মিলি এসে অপেক্ষা করবে কিন্তু সরল মিলির কোন ফোন নাম্বার জানে না আর সনেটের ফোন কোথায় পড়ে গেছে কে জানে। তাই সে সেদিকে রওনা দিতে উদ্যত হল এমন সময় ডাক্তার বলল “কোথায় যাচ্ছেন? আপনার অবস্থাও বেশি ভাল না, ট্রিটমেন্ট লাগবে।”
সরল বলল “ আগে ওর ব্যবস্থা করুন।”
সরল পার্কে গিয়ে দেখল নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পরও মিলি নির্ধারিত স্থানে পায়চারি করছে। আজ সে নীল শাড়ি পরেছে, কপালে একটা ছোট কাল টিপ আর হাতে একগুচ্ছ লাল গোলাপ- সব মিলিয়ে ভালবাসার দেবীর মূর্ত প্রতীক মনে হচ্ছিল তাকে। কিন্তু সরলের তার সৌন্দর্য অবলোকনের অবস্থা ছিল না। সে তাড়াতাড়ি মিলির সামনে আসল এবং বলল “ তুমি যার জন্য অপেক্ষা করছো সে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আর যার জন্য অপেক্ষা করছ না সে তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।”
মিলির হাত থেকে ফুলগুলো মাটির বুকে আশ্রয় নিল। সে দেখল সরলের শার্টের বাম হাতায় রক্তের ছোপ, প্যান্টের বাম পাশে একটা ফুটো। মিলি ছুটে এসে তার হাত ধরে বলল “তুমি কি জান আমি কার জন্য অপেক্ষা করছি?”
সরল লজ্জিতভাবে বলল “হ্যাঁ, তুমি সনেটের জন্য অপেক্ষা করছ।”
মিলি তখন বলল “কিংবা এর উল্টোটা।”
সরল বলল “তার মানে?” মিলি বলল “মানে খুবই সোজা। আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। কেন সনেট তোমাকে বলে নি? না বললে ও তো ব্যাপক বিশ্বাসঘাতক।”
এতক্ষণে সরল আজকের নাটকীয়তার অর্থ স্পষ্ট বুঝতে পারলো। সরল সরোষে চিৎকার করে উঠল “চুপ কর।” তার চিৎকারে গাছ থেকে কতগুলো পাখি উড়ে গেল। মিলি হতভম্ব হয়ে পড়ল।
হঠাৎ সরলের মনে হতে থাকে তার চারপাশে সব ফাঁকা, কেউ কোথাও নেই, সব শূণ্য স্তব্ধ, তার খুলির ভিতর দিয়ে জোরালো বাতাস প্রবাহিত হয়ে বাঁশির মত শব্দ করছে, তার দেহ বাতাসে ভেসে রয়েছে। তার মনে হল সে পড়ে যাবে। কিন্তু সে পড়ল না বরং চরম ইচ্ছাশক্তির বলে হঠাৎ সে যন্ত্রচালিতের মত ঘুরে দাঁড়ালো। তারপর হন হন করে হাসপাতালের দিকে চলতে শুরু করল। মিলি বলল “যেও না, প্লিজ শুনে যাও।” কিন্তু তার কথা সরলের কানে পৌঁছল কি না কে জানে।
অবশেষে ক্লান্ত অবসন্ন দেহে সে হাসপাতালে ফিরে এল। সে সনেটের শিয়রে বসলো। ততক্ষণে সনেটের জ্ঞান ফিরে এসেছে। সনেট সরলের ডান হাতটা কাঁপা হাতে ধরে নিষ্প্্রাণ শুষ্ক হাসি হেসে বলতে লাগল “তোর জন্যই এখনো বেঁচে আছি। মিলির সঙ্গে দেখা হয়েছিল নিশ্চয়ই। ও তোকে অনেক ভালবাসে। তুই ওর মন ভেঙ্গে দিস না। ও প্রথম দিন থেকেই তোকে চিনেছিল। এরপর আবার ওর এক বান্ধবী তোকে দেখেছিল, ভেবেছিল তোর ফোন নেই বলে আমারটা থেকে ফোন করেছিস। আর আমি যে কয়দিন আলাপ করেছি সেসব দিন তোকে মনে করেই কথা বলতো। একদিন একটু সন্দেহ প্রকাশ করার পর আমি তাকে সব খুলে বলি। আমার বিশ্বাস ছিল ও আমাকে ফিরিয়ে দেবে না। কিন্তু কি আশ্চর্য! ও বলল যে ও তোকে ভালবাসে। তারপর তোকে নিয়ে অনেকদিন আলাপ হয়েছে। সত্যিই সব মেয়ে আমাকে চায় কিন্তু আমি পাত্তা দেই না কিন্তু ওকে আমি চাই তবু ও আমাকে ফিরিয়ে দিল। যা হোক সময় মনে হয় ঘনিয়ে আসছে। তুই ওকে গ্রহণ করিস। তবেই আমি ওপাড়ে গিয়েও তোদের জুটি দেখে সুখী হব। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে বন্ধু। বি....দা.......” কথাটা ভাল ভাবে শেষ হলো না তার আগেই সরলের হাত ধরা হাতটা বিছানায় লুটিয়ে পড়লো।
সরল আর থাকতে পারল না। কোনমতে কান্না সংবরণ করে বাইরে বেরিয়ে পিচঢালা রাজপথে হাঁটতে লাগলো। সে ভাবতে চাইল আজ সনেটের কিছুই হয় নি। কিন্তু আজকের বাতাসে যেন কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেশি, ফুসফুস যেন তা ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারছে না, গলাটা যেন চেপে আসছে, কেমন যেন লাগছে। তার মস্তিষ্কে চলছে ভাবনার ঝড়।
এক অসহায় মেয়ে তার সঙ্গপ্রার্থী তাকে গ্রহণ করা অবশ্য কর্তব্য। কিন্তু তার নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁইই অনিশ্চিত অপরকে এই অনিশ্চয়তায় জড়াবে কীভাবে? আবার এটা ছিল সনেটেরও শেষ ইচ্ছা। আবার এতে বন্ধুত্বেরও চরম অবমাননা করা হয়। কারণ সনেট মনে প্রাণে ভালবাসতো মিলিকে। সে আজ হয়তো নেই কিন্তু তাতে কী আসে যায়? সে তো সরলের প্রতিটি রক্তবিন্দু অস্থিমজ্জায় মিশে আছে। তার প্রিয় জিনিসের প্রতি সে কোন মুখে হাত বাড়াবে। এটা যে বন্ধুর অগোচরে তার পিঠে খুর মারার মত ঘটনা হবে।
অস্বস্তি লাগার পরিমাণটা বেড়েই চলছে। সরল হঠাৎ ভাবল “হ্যাঁ, তাই ভাল। এ যন্ত্রণাকাতর বিশ্রী কুৎসিত ভাবনার ঘুণে কুরে কুরে খাওয়ার চেয়ে নিষ্ঠুর নিয়তির হাতে নিজেকে সমর্পণ করা ঢের ভাল। তবে তাই হোক।”

মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬

শত আশা ও তারুণ্য (অভিভাষণ)

বক্তব্যের প্রথমেই সম্মানিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দ, মাননীয় উপদেষ্টা ও উপস্থিত দর্শকমন্ডলীর প্রতি রইল আমার সশ্রদ্ধ অভিবাদন। এছাড়াও আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ধনবাড়ী ইয়ূথ ক্লাব-এর প্রত্যেক সদস্যের প্রতি যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ শত আশা- ২০১শীর্ষক অসামান্য সুন্দর অনুষ্ঠানটি আলোর মুখ দেখছে। জননন্দিত ক্লাবটি উক্ত অনুষ্ঠানে সংক্ষেপে কিছু বলা সভাপতি হিসেবে আমার কর্তব্য। আর এ জন্য আমার এই বক্তব্যের অবতারণা।
এ অনুষ্ঠানে আমার উপস্থিতির কারণ একে ঘিরে রাতজাগা কতগুলো মুখের পরিশ্রান্ত কিন্তু স্বর্গীয় আভাময় দ্যুতির প্রকাশ। মূলত উৎসব বা আনন্দানুষ্ঠান সব সময় তরুণদের কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। তরুণরা তাদের হৃদয়ের গভীর গহীন রত্নাকরের গোপন সিন্দুক থেকে যেসব মণি-মুক্তা পৃথিবীকে দান করে তার আলোয়ই আলোকিত হয় পৃথিবী। তবে তরুণ বলতে একতরফাভাবে শুধু বয়সে কচি ছেলেকেই বুঝায় না। এটি একটি সর্বজনীন অভিধা যা নারী, পুরুষ এমনকি বৃদ্ধ-বৃদ্ধার ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য হতে পারে। তারুণ্য হলো মানসিক ও শারীরিক উভয় অবস্থার সর্বোচ্চ উন্নতির সমন্বিত শিখরবিন্দু। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় তার বাহ্যিক বা শারীরিক তারুণ্যের কমতি নেই কিন্তু তার অভ্যন্তরীন জগৎ তারুণ্যের ছিঁটেফোঁটাহীন। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তার মনে চিরবসন্তের তারুণ্য কিন্তু শরীরের জ্যামিতিক বলিরেখা বলছে তার বয়স বেড়েছে। মানুষের মনোজাগতিক শক্তিই মানুষকে অমিত তেজশক্তিতে বলীয়ান করে। তার প্রমাণ পৃথিবীতে এত বেশি যে সে কথা বলা বাহুল্য ছাড়া আর কিছুই না। তবে সোনায় সোহাগা তখনই হয় যখন মানুষের মধ্যে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীন উভয় দিকের তারুণ্যের সমান্তরাল বিকাশ ও ক্রমপরিবর্ধন ঘটে। আর আমার সামনে উপবিষ্ট ও অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যেই এই সুষম সমন্বয় সমানুপাতে রক্ষিত হয়েছে। কারণ ধনবাড়ী ইয়ূথ ক্লাব মেধা ও সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
মানুষের মেধা বা মনন একটি প্রকৃতিপ্রদত্ত বিষয় হলেও প্রচন্ড অধ্যবসায়, মনোযোগ ও মনোবলের মাধ্যমে তাকে করায়ত্ত করা যায়। আর পৃথিবীতে দেখা যায় বেশিরভাগ লোক নিজের জন্মগত বিপুল মেধার পরিচয় না পেয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। কিন্তু দ্বিতীয় ধারা অর্থাৎ স্বনির্মিত মেধাবীরা নিজেদেরকে উজ্জ্বল আলোতে ঠিকই মেলে ধরে। আর এক্ষেত্রে তারা সৃষ্টি সুখের উল্লাস লাভ করে দ্বিগুণ মাত্রায়। মেধা, স্বজ্ঞা ও বিবেকের কারণে মানুষ অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কয়েক কদম এগিয়ে থাকে। তারা অন্যদেরকে নিজ প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এই মেধার সঠিক মূল্যায়ন না হলে মেধা ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য।
অপরদিকে আমাদের সমগ্র সত্ত্বাই হল আমাদের সংস্কৃতি। এটি আমাদের দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত অভিজ্ঞতা, পরিবেশ, ধর্ম, আবহাওয়া, সভ্যতা ইত্যাদি নানান বিষয়ের নিরিখে গড়ে ওঠে। আমরা আমাদের নিজেদের সংস্কৃতিকে না জানতে পারলে কখনোই নিজের মূলকে আবিষ্কার করতে পারবো না। সংস্কৃতি আমাদের মনকে নান্দনিক করে। সত্যম, শিবম, সুন্দরম-এ শিক্ষা আমরা সংস্কৃতি থেকে পাই। মেধা আমাদেরকে বিবেকবান বাস্তবজ্ঞানসম্পন্ন মানুষে পরিণত করে আর সংস্কৃতি আমাদের আবেগ অনুভূতিসম্পন্ন মানবিকতা দান করে। এ দুইয়ে মিলে গড়ে ওঠে সময়োপযোগী কোমল-কঠোর মানব চরিত্র। তাই সংস্কৃতির চর্চা আমাদেরকে অতিযান্ত্রিকতা থেকে নিরাপদ রাখে। বাঙালি হিসেবে আমাদের হাজার বছরের বিশাল প্রাচুর্যময় সংস্কৃতি থাকা সত্ত্বেও দুঃখের বিষয় এই যে আমরা বর্তমানে ডিজিটাল প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে ব্যর্থ হচ্ছি। ফলে আকাশ সংস্কৃতির সহজলভ্যতায় আমাদের সংস্কৃতির উপর নেমে আসছে আগ্রাসন। এমতাবস্থায় সম্পূর্ণ দেশীয় সংস্কৃতিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর প্রচেষ্টাটি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত প্রসংশার দাবিদার। দিনকে দিন আমাদের সংস্কৃতি মুখ লুকাচ্ছে। আমরা শৈশব পার করেছি নৌকা বাইচ, কুস্তি, ঘোড়দৌড়, লাঠি খেলা, বউ ছি, গোল্লাছুট, দাঁড়িয়াবান্ধা, হা ডু ডু, বরফ-পানি, মার্বেল, চন্টি বাড়ি, চট্টু, তিন গুটি প্রভৃতি সাশ্রয়ী কিন্তু আকর্ষণীয় বৌদ্ধিক খেলা উপভোগ করে আর এখনকার সে বয়সী ছেলে মেয়েরা হয়তো অ্যান্ড্রয়েডে বা ল্যাপটপে টেম্পল রান, ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস, অ্যাংগ্রি বার্ডস বা ভাইস সিটি খেলে হাত পাকায়। আপাত দৃষ্টিতে একে উন্নতি মনে হলেও এটি খাঁচায় ব্রয়লার তৈরীর মত একটি শরীরচর্চা বিবর্জিত প্রজন্ম তৈরীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং বিষয়গুলি অনেক হালকা মনে হতে পারে কিন্তু অবহেলা করার মত কখনোই নয়।
তারুণ্যের রয়েছে অবাধ অপ্রতিরোধ্য সর্বভুক গতি। যে গতির কারণে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু সর্বত্র সে সমভাবে পূজনীয়। কিন্তু এই গতিই তার দুর্বলতা যা তাকে ধ্বংস করতে যথেষ্ট। গতিকে যদি সঠিক পথে পরিচালিত করা যায় তবে তা চলার পথে সোনা ফলায় কিন্তু গতি কুপথে গেলে তা অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষতি সাধন করে। বর্তমান প্রজন্মের তারুণ্য বিভ্রান্তি, বিশ্বাস ব্যবসায়, প্রলোভন, অনৈতিকতা, মেকি সুখের মায়া, অহংবোধ, হুজুগ, মাদক, যৌন বিকৃতি, সম্পর্কের ফাটল, অতিযান্ত্রিকতা, সকাল-সন্ধ্যা প্রেম, হাতাশা, আত্মহত্যা প্রভৃতি নানা রকম ধোঁয়াশায় আবৃত। তাদের পৃথিবীকে পরিবর্তন করার মত শক্তি থাকা সত্ত্বেও তারা সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে ডাঙায় তোলা মাছের মত খাবি খাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের একটাই পথ। তা হল যুগপৎভাবে স্বশিক্ষা ও সুশিক্ষা। একমাত্র মানবিক, বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদী শিক্ষাই পারে প্রবল তারুণ্যের বারুদশালায় দেয়াশলাই কাঠির মত কাজ করতে। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখার ক্ষেত্রে আমাদের অন্যের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজ থেকে পরিবর্তন শুরু করতে হবে। মনে রাখতে হবে পৃথিবীর সকল পরিবর্তন শূণ্য থেকেই শুরু হয়। বর্তমানে আমরা কোনো রূপকথার রাজ্যে বসবাস করি না যে রাজপুত্র এসে তার কারিশমা দিয়ে পরিস্থিতি অনুকূল করবেন। বরং একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবীতে আমরাই আজ একেকজন রাজপুত্র, সুপারম্যান, ব্যাটম্যান বা স্পাইডারম্যানের মত সুপার হিরো। পুরো পৃথিবীটাই আজ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
তোমরা যারা আজ এখানে পুরস্কৃত হচ্ছো তাদের সম্পর্কে বিশেষ কিছু না বললেই নয়। তোমরা প্রত্যেকেই তোমাদের জীবনের চলার পথের একটি নির্দিষ্ট ধাপ এত চমৎকারভাবে অতিক্রম করেছ যে পুরো পৃথিবী তোমাদেরকে মাথা নত করে সম্মান জানাতে বাধ্য হচ্ছে। তবে এটিই শেষ নয় বা শেষের শুরুও নয় বরং একে বলা যায় শুরুর শুরু। তোমাদের সামনে পড়ে আছে অনিশ্চিত অসীম সম্ভাবনার ভবিষ্যৎ যেখানে তোমাদের আজকের মত সফল পদচারণা তখনই হবে যখন তোমরা প্রতিটি সিদ্ধান্ত ঠিক সময়ে ঠিকভাবে নিতে পারবে। তোমাদের জ্ঞানস্পৃহার মশালে ঘি ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিল তোমাদের অগ্রজ দায়িত্বশীলরা। অন্তত তাদের প্রচেষ্টাকে সম্মান জানানোর জন্য হলেও তোমরা নিজেরা নিজেদের ছাড়িয়ে যাও। তোমরা উন্নত হলে তোমার সঙ্গে সঙ্গে নাম হবে তোমার পরিবার, বংশ, সর্বোপরি এলাকার। তাই মায়ের মত মাটিকে ভালবেসে তোমরা আকাশের তারার উচ্চতা লাভ কর এটুকুই আমার একান্ত কামনা। মনে রাখবে পৃথিবী বরাবরই বিজয়ীদের পক্ষে। তাই তোমাদের পথ চলায় আবারো শুভ কামনা এবং উপস্থিত সুধী ও ধনবাড়ী ইয়ূথ ক্লাব-র সকল সদস্যকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।

10 July 2016
Sub-district Auditorium, Dhanbari
 
NB: The speech was shorten due to lack of time.

রবিবার, ২৬ জুন, ২০১৬

বাংলা Vs. English

শিরোনাম দেখে আঁতকে উঠার কোন কারণ নেই। এ কারণেই বলছি যে, আমরা জাতি হিসেবে অনেক আবেগপ্রবণ। আর ভাষার ক্ষেত্রে আমাদের অনুভূতি প্রায় আকাশছোঁয়া। কারণ শুধু আমরাই বিশ্বের একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করেছি। আর ফেব্রুয়ারি মাস এলে তো আমাদের ক্ষণস্থায়ী ভাষাপ্রীতির অতিরিক্ত প্রদর্শনী মেলে কথাবার্তায়, বিজ্ঞাপনে, মোবাইল ফোনের রিংটোনে। কিন্তু ঐ মাসটি ব্যতীত এতসব প্রীতির নমুনা পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর। তবে দু:খের বিষয় হলো আমাদের গৌরবান্বিত ভাষা আন্দোলন ও ভাষা সম্পর্কে আমাদের বেশিরভাগ মানুষের জানাশোনা প্রায় শূণ্যের কোঠায়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হয়তো এজন্যই বলেছিলেন “বাঙ্গালীর ইতিহাস চাই। ইতিহাস ব্যতীত বাঙ্গালী মানুষ হইবে না।” যাহোক আমার আলোচনা বিষয়তো ইতিহাস নয় কারণ এটি বহুল আলোচিত ব্যাপার।

মূলত বাংলা ও ইংরেজী ভাষার আপাতদৃষ্ট বিতর্কই আমার আলোচ্য। বাংলা ভাষা হল পৃথিবীর সকল ভাষার ভেতর ভাষাভাষীর লোকসংখ্যার দিক থেকে চতুর্থ। আর ইংরেজী হল বিশ্বের সকল দেশের আন্ত:যোগাযোগের জন্য সর্বজনস্বীকৃত ভাষা। অন্যান্য দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের সাধারণ মাধ্যম হল ইংরেজী ভাষা। তাই ইংরেজী ভাষা যে সব দেশের মাতৃভাষা নয় সেসব দেশে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখা একটি বাঞ্ছনীয় বিষয়। কিন্তু অনেকে এ বাংলা ইংরেজির সহাবস্থান ভিন্নভাবে বর্ণনা করেন। তাদের মতে ইংরেজি ভাষায় লেখাপড়া কিংবা ইংরেজি ভাষা পড়ালেখা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়ই না পাপসম। কিন্তু বৈশ্বিক দৃষ্টিতে ইংরেজির সমান্তরাল গতিশীলতা অবশ্যই প্রয়োজনীয়।

আবার অনেকেই হয়তো জানেই না ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী বাংলা কত তারিখ ছিল। সেদিনটি ছিল ৮ই ফাল্গুন। অনেক কবি এটি তাদের কবিতায় উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বাংলা ও ইংরেজি দিনপঞ্জি গণনার পার্থক্যের কারণ এখন ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় ৯ই ফাল্গুন। যদি বাংলার বাধ্যবাধকতা এতই বেশি হতো তবে তো ২০ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হবে না। কারণ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার বেশিরভাগ দেশে দিন গণনায় ব্যবহৃত হয় আর এতে দিন তারিখ আকবরীয় পঞ্জিকা সহ অন্যান্য পঞ্জিকার সঙ্গে গরমিল হয়। তাই এটি মানাই সমীচীন। অন্যদিকে বাংলা পঞ্জিকা মতে দিন শুরু ভোর থেকে হলেও বর্তমানে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয় রাত ১২টায় মানে ইংরেজী ক্যালেন্ডারের আদলে।

এছাড়াও আসে স্বীকৃতির বিষয়টি। ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেব স্বীকৃতি দেয় UNESCO তথা জাতিসংঘ ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর। UNESCO এর স্বীকৃতি পত্রে লেখা ছিল- 21st February proclaimed International Mother Language Day through but the world to commemorate the martyrs who sacrifice their lives on the day 1952.

এতদ্ব্যতীত বিভিন্ন দেশে এর প্রচারণা বা উদযাপনের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয় বেশিরভাগ ইংরেজিতে। তাছাড়া আমাদের ব্যাকরণও রচিত ইংরেজি ও সংস্কৃত ব্যাকরণের আদলে। ১৭৪৩ সালে প্রথম বাংলা ভাষার ব্যাকরণ রচয়িতা ম্যানুয়েল দ্যা অ্যাসুম্পসাঁও তাঁর ব্যাকরণ গ্রন্থ Vocabolario em idioma Bengalla, e Portuguez dividido em duas partes রচনা করেছিলেন পর্তুগীজ ভাষায়। পরবর্তীতে এন বি হ্যালহেড ইংরেজি ভাষায় বাংলা ব্যাকরণ (A Grammar of the Bengal Language) রচনা করেন। আমাদের চিঠিপত্র ও অন্যান্য ব্যাকরণিক বিষয়েও ইংরেজি ব্যাকরণের যথেষ্ট ছাপ খুঁজে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আমরা এখন যে পদ্ধতিতে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক পত্র লিখি তা আমেরিকান ইংরেজির নিয়ম।

অন্যদিকে আমাদের বাংলা ভাষার প্রায় ১লাখ ২৫ হাজার শব্দের মধ্যে প্রায় ৪৪% হলো তৎসম, .৫৫% বিদেশী, ৫১% হলো দেশী ও অতৎসম শব্দ। বেশীরভাগ সংস্কৃত, আরবি, ফারসি, ইংরেজি ইত্যাদি থেকে গৃহীত। কিছু কিছু ইংরেজি শব্দ পরিবর্তিত উচ্চারণেও গৃহীত হয়েছে। আবার অনেক শব্দের প্রাসঙ্গিক শ্রুতিমধুর ভাষান্তর সম্ভব হয়নি বলে তা অবিকৃত অবস্থায় আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য শব্দে পরিণত হয়েছে। এগুলো উচ্চারণ না করে তার জায়গায় অপরিচিত, অপ্রচলিত, অপেক্ষাকৃত কম শ্রুতিমাধুর্য সম্পন্ন বাংলা শব্দ ব্যবহার করা একটু বেমানানই লাগে। তবে যেসব শব্দ বহুল ব্যবহৃত তাকে বাংলা অভিধান/শব্দ সম্ভারের অন্তর্ভূক্ত করে আপন করে নেওয়াই শ্রেয়।

একটি ভাষার সহজাত বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট সময় পর পর বদলে যাওয়া। তাই বলে এই না যে, অতিআধুনিকতা দেখাতে আমরা বাংলা ও ইংরেজির মিশ্রণ Stylish(!) বাংlish ভাষা ব্যবহার করব। তাহলে বাংলা ভাষা তার স্বাভাবিকতা হারাবে। আবার ইংরেজির প্রভাবমুক্ত করতে গিয়ে ইংরেজি পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়াও অবিবেচকের মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার শামিল হবে। ফলে বাংলা ভাষা পৃথিবীর গতিময় পদযাত্রার সঙ্গে তাল না মেলাতে পেরে অনেক বছর পিছিয়ে যাবে। তবে আমরা দুই ভাষার সমতা বিধানে যেটা করতে পারি তা হলো প্রতিটি বাক্য আমরা হয় ইংরেজিতে না হয় বাংলায় বলার চেষ্টা করতে পারি। অর্থাৎ সম্পূর্ণ ইংরেজি না হয় বাংলা ব্যবহার করতে হবে, কোন কোনক্রমেই গুবলেট বাংlish নয়।

আমরা কখনোই ইংরজির প্রভাব সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হতে পারবো না। কারণ ইংরেজি ভাষাও ধোয়া তুলসী পাতা নয় তাতেও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান, ল্যাটিন, ফরাসি, জার্মান ইত্যাদি ভাষার প্রত্যক্ষ প্রভাব বিদ্যমান। ২১শে ফেব্রুয়ারির দিন ইংরেজি শোনা, বলা, পড়া, লেখা চলবেই। কারণ February শব্দটিও ইংরেজি। তবে আমরা অবশ্যই যে সর্বক্ষেত্রেই মাতৃভাষাকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেব। এটি ভালভাবে শিখে অন্যান্য ভাষায় দক্ষ হতে কোন বারণ নেই। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বহুভাষাবিদ ছিলেন বলে তাকে কেউ বাংলা ভাষার প্রতি হুমকিস্বরূপ মনে করেন নি। তাই আমি বাংলা ও English-এর দ্বন্দপূর্ণ সম্পর্ক দেখতে চাই না চাই একটি সমান্তরাল গতিশীলতা। তাই এখন ইচ্ছা হলে শিরোনামটি পাল্টে ‘বাংলা & English’ পড়তে পারেন।

শনিবার, ১৪ মে, ২০১৬

মেলায় মিলিত


বৈশাখের প্রথম দিন সাজ সাজ রব উঠে
সূর্যোদয় থেকেই মেলার পানে সবাই ছুটে।
গিয়ে সেথায় নাগরদোলায় দেখলাম তোমায় অনন্যা
আমি যাকে খুঁজি তুমি সেই ঈপ্সিত রাজকন্যা।
 
তোমার বিন্দুমাত্র রূপেই আমি হলাম হতচকিত
কিন্তু তোমায় পাওয়ার আশা সে তো সুদূর পরাহত।
তোমায় দেখতে দেখতে আফসোসে ফেলি দীর্ঘশ্বাস
কারণ তুমি নধর কাশফুল হলে আমি অদরকারী ঘাস।
তুমি ভোরের লাল সূর্যের আভায় জাগা লজ্জাবতী
যদি মোর বণিতা হও নীহারিকা দেব তোমায়- এ আমার প্রতিশ্রুতি।
 
পকেট আমার ছিল শূণ্য, মনে সুপ্ত আশা ভিন্ন
তোমায় দেখে হলাম ধন্য, মেলা হল পরিপূর্ণ।
পান্তা ইলিশ ফেলে রেখে তোমায় করলাম অনুসরণ
নিজের অজান্তেই মনটা মন্ত্রমুগ্ধের মত তোমায় করল বরণ।
শত মানুষের ভিড়ের আড়ালে তুমি হঠাৎ হারালে
কিন্তু এখনো তুমি আমার স্বপ্ন জাগরণ আর ছবির অন্তরালে।

2010

শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

Exploring the Problems of Teaching-learning Process and Evaluation System in Practice Teaching of Bachelor of Education Course -Shamim Al Mahmud, Roll No.: 15-598, 17th Batch, Department of NFCE, IER, DU


Abstract
The aim of the study is to find out the existing problems faced by intern teachers in teaching-learning process and evaluation system of practice teaching of Bachelor of Education Course. This study is a descriptive research and qualitative approach is followed in this study. The study was included with the students of Institute of Education and Research who are now in practice teaching as well as who had completed the practice teaching from 13 different schools. The students were selected from 17th and 18th batch of IER on the basis of gender and streams. The students were selected conveniently for the purpose of the study. In order to maintain the validity of data, 20 students were selected. For collecting data, in this study different types of data collection tools like classroom observation checklist and interview were used. From this research, it is found that there are some definite problems in teaching-learning process and evaluation system. But this program helps a lot to the personal development of the students. So, IER can be appreciated for this initiative. Against all the problems some recommendations are made from my side. Finally, in spite of having some problems the practice teaching is a thanks-worthy program of IER.

Introduction

Internship is a period of time during which a student or new graduate gets practical experience in a job, for example during the summer holiday (Oxford Dictionary, 2008). As IER is the apex body of education of Bangladesh it provides the opportunity of internship as practice teaching. Students get the chance to practice as a teacher at 7th semester of BEd Degree. At this time students are simultaneously a students and a teacher.
Internship teaching is the culminating experience of the first degree program in education. It provides the opportunity to apply theoretical knowledge on pedagogies in the actual classroom settings and gain practical experience. The internees are exposed to an environment where they encounter learners for the first time and face them multitude of ideas, approaches, techniques and process (Curriculum, 2003).
An intern is a student or new graduate who is getting practical experience in a job (Oxford Dictionary, 2008). Teaching-learning process is the process by which a teacher teaches and a student learns in a classroom mostly. Practicum: Internship is a course having course no. PCP-165 which is run during 7th semester of BEd program. Internship provides employees with cheap and or free labour for (typically) low level tasks and also the perspective of interns returning to the company after completing their education and requiring little or no training (David M, Dunway and others, 2010). Before performing as an intern the students have to go through a micro teaching and simulation. But there are a lot of problems faced by the internees in practical fields. Besides they feel a difference between policy and practice in evaluation system after completing their internship. It was also true for researcher's past experience of internship.

Significance

Everything on this world has some advantages and problems also. So, it is common that internship of IER has some problems too. If the problems are found out they will be easily reduced. Then it will be better for the students of IER. On the other hand the advantages should be strengthened. As we can do so the internship will help the students to be more confident and skilled. The recommendation of this study can be followed for student oriented internship too. Not only IER but also other departments of DU can adopt the suggestions to make the practicum smoother. Finally, all GOs and NGOs can use the findings for their academic evaluation and supervision.

Research Questions

  • What are the existing problems faced by the students who attended in the practice teaching of Bachelor of Education Course?
  • What are the differences between teaching-learning process in theory learned in IER and in practice in schools?
  • What are the problems faced by the intern teachers while they are being evaluated academically?

Methodology

Nature of the study

This research was conducted with the support of Qualitative method. Due to the vastness of area, maintaining the study in limited time was counted as priority. For ensuring the validity and transparency during required time frame the research was held on mostly IER premises.

Population and Sample

The populations for the research were the students of Institution of Education and Research who were completing and had completed the .practice teaching of 7th semester of Bachelor of Education course run by IER. The size of the sample was 20. The technique of sampling was convenience sampling, a type of non-probability sampling.

Data collection Instruments/ Tools

Research Questions
Type of Data
Sample Source
Tool to be used
What are the existing problems faced by the students who attended in the practice teaching of Bachelor of Education Course?
Qualitative
20 students from 18th and 17th batch (10+10)
Classroom observation Checklist and Semi Structured In-depth Interview
What are the differences between teaching-learning process in theory learned in IER and in practice in school?
Qualitative
10 students from 18th
Classroom observation Checklist
What are the problems faced by the students while they are being evaluated?
Qualitative
10 students from 17th batch
Semi Structured In-depth Interview

Data Gathering Procedures

For fulfilling the research purpose the researcher gathered all the data himself. Any research assistant was not recruited to help at the time of data collection.

Data Analysis Techniques

After the collection of data from different sources, it was manually checked for consistency and accuracy. All the data for the study was analyzed through qualitative approach.
Major findings/ Result
The major findings based on research questions are given below.
RQ 1: What are the existing problems faced by the students who attended in the practice teaching of Bachelor of Education course?
Major findings:
  1. A lot of extra classes
  2. Long duration of class
  3. Huge number of students in the classrooms
  4. Lack of light, electricity and fan
  5. Assigned task by regular teachers
  6. Unbearable transportation cost
  7. Problems in class management
  8. Problem about teachers' common room and availability of food
  9. Between satisfactory and not satisfactory feelings about fixing the schools by IER
  10. Being rebuked altogether for one or more colleagues’ (of IER) absence
  11. Material cost is high
RQ 2: What are the differences between practice teaching and teaching-learning process in theory learned in IER and in practice in school?
Major findings:
  1. Teacher-student ratio is high
  2. Proxy classes
  3. Class management unlike that in simulation
  4. Many classes were different from the subject knowledge (Stream of IER)
RQ 3: What are the problems faced by the intern teachers while they were being evaluated academically?
Major findings:
  1. Bad evaluation system
  2. Not correct
  3. Evaluation is not properly based on classroom observation
  4. Exaggerated images were presented by the interns (in front of supervisors or co-coordinators)
  5. Nepotism

Discussion

From the major findings it can be said that the internship of IER has some problematic issues. The problems faced by the students should be eradicated or reduced in short period of time. Most of the respondents said about the extra classes which are irrelevant to their subject. It helps to build their promptness. But it is also different from the learning learned in IER. Because in IER it is taught that intern teachers should use teaching materials and lesson plan based on the topic of the lesson. But it is not possible for the instant classes. The duration and the number of the students in classes hamper the students' attention and management of the class. But in theory for a developing country like ours the number of students should be 40 against one teacher. Teachers of the schools feel relieved for the internees and they use them in their own personal purposes. But regular teachers should help them in every way. The cost of transportation and making teaching materials is also much to bear for the internees. But every department tries to assign the students in nearly institution for internship. Besides the internees of BBA, get the opportunity to earn money from internship. Intern teachers so not get a proper canteen and common room for them. But in the Faculty of Business Studies of DU students get the opportunity to have a desk for almost each one. The schools are fixed randomly. But students have a certain taste and sense of advantage about choosing the school for internship. Internees should be on his/ her own at the time of choosing institution like in developed countries and many departments of DU.

Recommendation

The recommendations based on this research are as below.
  1. Fixing the field of the work strictly for internees
  2. Assigning more than one teachers in a class for management based on number of students
  3. Paying the internees for their transportation and material cost
  4. Enhancing the infrastructural facilities for internees
  5. Distributing the schools regarding choice and distance from the dwelling place of the internees
  6. Punishment or reward for personal achievement or deeds
  7. Ensuring subject oriented class distribution
  8. School based assessment for internees
  9. Covert and overt observation about over all process
  10. Assigning external evaluator

Conclusion

Internship is the bridge between the abstract knowledge and real experience. Obviously it has some problems as well. But it is not correct to cut off the head from the body for headache. So, internship should not be stopped due to its problems. But the problems should be reduced or eradicated permanently as early as possible.
Bibliography
Ayaji, Losisi J., (2006). Bridging the Gap between University Supervisors and Hispanic Students Interpretation of English Language Development Teaching Practices During Intern Teacher Fieldwork supervision in Inner-city Middle Schools of Los Angeles, eric.ed.gov
Curriculum, Bachelor of Education (Honours). (2008) Institute of Education and Research, University of Dhaka, Dhaka
David M Dunaway, James Bird, Claudia Flowers, James E Lyons, Summer (2010) Interns and Mentor Perceptions of the Internship Experience, Leadership the online Journal, Volume 8 Issue 3
Ezalt, A. B., M. K. Ocheing P., Secentamu and L. M. Sikoyo, (2010). Enhancing the quality of Student Teachers’ practices through reflective. journal writing during school practice Perspect. Educ., 28(2): 21-40
Freeman-Larson, D., (2000). Techniques and Principles in Language Teaching. Oxford: Oxford University Press.
Hofstein, A. G., R. Ben-Zui and D. Samuel, (1979). Classroom learning environment and student attitude towards chemistry. Stud. Educ. Eval, 5: 231-236
I. Elaine Allen and Christopher A seaman, (July 2007). Likert Scales and Data Analysis. Univesity of New York
Lapan, Stephan D., Vogel, Francis X, (23 October 82). A checklist for Univesity Supervisors Regarding the Operation of Successful Intern Seminar and Field Learning activities. J. Workplace Lear, 18(3). 141-156
Makerrow, K., (1998). Administrative internships: quality or quantity? Journal of School Leadership.
Oxford Advanced Learner’s Dictionary, 8th Edition. © 2010, Oxford University Press.
Valesky, T. C., Carter, C. and Ituene-Johnson, November, (2007) “The internship experiences of students of principal preparation” developing a collaborative internship program using SPEB guidelines. Paper presented at the southern Regional Council of Educational Administration conference, Kansus City, KS.
Wajnryb, R., (1992). Classroom Observation Tasks: A Resource Book for Language Teachers adn Trainees. Cambridge. Cambridge University Press
ভট্টাচার্য, দূর্গাদাস, শিক্ষায় মূল্যায়ন পরিসংখ্যান, কলকাতা এডুকেশনাল এন্টারপ্রাইজাস, ১৯৯৭, পৃ-
Unpublished Sources:
Nahar, Sayfun, (2011). Students Perception of the Practice Teaching Experience in Bachelor of Education, IER, University of Dhaka [A thesis submitted in partial fulfilment of the requirement of MEd Degree]. Department of Educational Administration
বসু, মনি, (১৯৮৫). আই আরের মূল্যায়ন ব্যবস্থার মূল্যায়ন [এম এড-এর আংশিক চাহিদা পূরণের জন্য দাখিলকৃত গবেষণাকর্ম]: মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ